পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় – Police Clearance Certificate Delivery Time

দেশের বাইরে ভ্রমণ, বাইরে গিয়ে চাকরি, উচ্চ বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর দরকার হয়। বিশেষ এই সার্টিফিকেটটি ছাড়া কেউ বিদেশে ভ্রমণ করতে পারেনা। কাজেই বুঝতেই পারছেন যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা অনেকেই জানেন না পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় সম্পর্কে অর্থাৎ এটি পেতে কতদিন লাগে বা কোথায় যোগাযোগ করতে হয়। 

তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজ আপনারা জানবেন যে আবেদন করার পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ঠিক কতদিন সময় লাগে বা কিভাবে এটি দ্রুত পাওয়া যায় বা এটির মেয়াদ কতদিন। এছাড়া এই সংক্রান্ত সবকিছু আমরা কভার করার চেষ্টা করবো আজকের আর্টিকেল এ। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় – Police Clearance Certificate Delivery Time

আপনি কতদ্রুত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাবেন তা নির্ভর করে পুলিশি তদন্তের উপর। পুলিশি তদন্ত যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক ভাবে হয়ে যায় তাহলে সাধারনত আপনি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যেতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে ১৫ দিনও সময় লাগতে পারে। তবে পুলিশ তদন্ত করে যদি ঝামেলাপূর্ণ কিছু খুঁজে পায় তাহলে আপনার সার্টিফিকেটটি পেতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী সময় লাগতে পারে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মেয়াদ ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাস। 

কাজেই, আপনি যদি বিদেশে যাবার জন্য এটি নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই তিন মাসের মধ্যেই চলে যেতে হবে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনি এটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না, তখন আপনাকে আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে এবং চালানের মাধ্যমে এটির পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে। মূলত এরপরই ক্লিয়ারেন্স তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এই কাজে কিন্তু খুব বেশী সময় লাগার কথা না বরং তিন কর্ম দিবসের মধ্যেই এটি শেষ হবার কথা। কিন্তু যেহেতু একসাথে অনেক আবেদনপত্র জমা পড়ে সেহেতু একেকটি কাজ সম্পন্ন করতে বেশ সময় লাগবে। তবে থানায় যদি তেমন কাজের চাপ না থাকে তাহলে পুলিশ চেষ্টা করেন যত তাড়াতাড়ি এটি তৈরি করা যায়। 

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখুন

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগে?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এ আবেদন করতে আপনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ প্রয়োজন হবে এর মধ্যে আছে ৩ মাস মেয়াদি পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য কাগজপত্র। এগুলো আবেদন করা এবং তাঁর পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে কাজে লাগবে। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কত টাকা লাগে?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে ৫০০ টাকা লাগে অর্থাৎ আপনি ধরেই নিতে পারেন যে এখানে মোট খরচ ৫০০ টাকা। তবে আপনাকে আরও বেশী খরচ করতে হতে পারে যদি আপনি দালালের সাহায্য নেন। তাই দালাল না ধরে নিজেই অনলাইনে আবেদন করুন। এতে বাড়তি খরচ হবেনা আবার প্রতারিত হবার সম্ভাবনাও নেই। 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক করার প্রয়োজন কেন?

কিছু অসাধু মানুষ আছেন যারা নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকে। নকল সার্টিফিকেট নিঃসন্দেহে আপনাকে বিপদে ফেলবে কোন না কোন সময়। এজন্য পুলিশ রেফারেন্স নাম্বারসহ বারকোড সিস্টেম চালু করেছে। নকল সার্টিফিকেটে এত সিস্টেম থাকবেনা, আর থাকলেও তা কোন কাজ করবেনা। 

আপনার নামে পুলিশ কর্তৃক যে সার্টিফিকেটটি ইস্যু করা হবে সেটির উপরে বাম পার্শ্বে একটি QR কোড দেখতে পাবেন। এখানে থাকা রেফারেন্স নাম্বার ও QR কোডের মাধ্যমেই আপনাকে সনাক্ত করা হবে এবং আপনার সার্টিফিকেটটি আসল না নকল তাও বোঝা যাবে। 

কিভাবে মাত্র একসপ্তাহে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া সম্ভব, তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। আপনার দেয়া সমস্ত তথ্য যদি ঠিকঠাক থাকে এবং পুলিশ তদন্ত করে যদি কোন ঝামেলা না পায় তাহলে যতদ্রুত সম্ভব তারা তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। তাহলে আশা করাই যায় যে আপনি মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেয়ে যাবেন। 

শেষ কথা

আশা করা যায়, আপনারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় সম্পর্কে জেনেছেন। যারা সাধারণত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তারা চান যতদ্রুত সম্ভব যেন এটি পাওয়া যায়। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স আপনি হাতে পেয়ে যাবেন, বড়জোর বেশী লাগলে আর ৫ দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। 

তবে আরেকটি কথা, তাড়াতাড়ি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে গিয়ে অনেকেই দালালের শরণাপন্ন হন অথবা অসৎ উপায় অবলম্বন করেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না কারণ দালাল আপনাকে প্রতারিত করতে পারে। এছাড়া নকল ক্লিয়ারেন্স ব্যবহার করে আপনি একসময় ধরা খাবেনই। এজন্য বৈধ উপায়েই আবেদ করবেন এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করবেন। 

Author

  • Sharmin Shimi is a dedicated education writer at ResultKoi.com, specializing in academic updates, admission guidelines, and exam results in Bangladesh. With a passion for simplifying complex information, she helps students stay informed about their educational journey.

    View all posts

Leave a Comment